দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন রক্ষায় সরকার নির্ধারিত বিধিনিষেধ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
শুক্রবার সেন্টমার্টিন রক্ষায় করণীয় ঠিক করতে মেরিন পার্ক সেন্টারে আয়োজিত বিশেষ সভায় মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা ছাড়া সেন্টমার্টিন দ্বীপের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা কঠিন। অনন্য এই দ্বীপটি রক্ষায় সরকারের বিধিনিষেধ মেনে চলতে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’
এ সময় সভায় উপস্থিতরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার করেন।
সভায় উপস্থিত জনপ্রতিনিধিরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ রক্ষায় প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সরকারি বিধিনিষেধ ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
সভা শেষে পরিবেশমন্ত্রী সেন্টমার্টিন দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি দ্বীপে কচ্ছপের ছানা অবমুক্ত করেন এবং একটি নারকেল গাছের চারা রোপণ করেন।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ, ‘সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবেশগত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে জীববৈচিত্রের উন্নয়ন, ব্যবস্হাপনা ও সংরক্ষণ’ প্রকল্পের পরিচালক সোলায়মান হায়দার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের রোজগার হয় পর্যটন মৌসুমে। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহনের মাধ্যমে সংসার চালায়।
আরও পড়ুন: ছেঁড়াদ্বীপে নিষেধাজ্ঞা: প্রতিবাদে ধর্মঘটে অচল সেন্টমার্টিন