হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। পুলিশ অভিযান চালিয়েও আটক করতে পারেনি কাউকে। সেই সঙ্গে হামলার কারণ নিয়ে রয়েছে দ্বিমত।
ওই ছাত্রীর পরিবার বলছে, বড় বোনের হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে, প্রেমঘটিত কারণে এ হামলা ঘটে থাকতে পারে।
হামলার শিকার ছাত্রীর মা মাধুমালা জানান, তার বড় মেয়ে ফারজানাকে তিন বছর আগে একই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা হত্যা করেন। সেই হত্যা মামলার সাক্ষী ছিল তার এই ছোট মেয়ে।
আসামিরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই চাপ দিয়ে আসছিলেন। এ কারণেই তার ছোট মেয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম বলেন, ‘ওই ছাত্রীর পরিবার দাবি করছে পূর্ব বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বিষয়টি মিথ্যা হতে পারে। প্রেমঘটিত কারণেও এ হামলা হতে পারে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ওই ছাত্রীর ঘর থেকে এক যুবকের কাপড়, জুতা, মোবাইলসহ বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি তথ্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর জানানো হবে।’
গত বুধবার ভোরে বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রামে ওই ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাবা মোস্তফা মিয়া মারা যাওয়ার পর কাজের জন্য তার মা অন্য জায়গায় থাকেন। যে কারণে ওই ছাত্রী বাড়িতে একাই থাকত।