কুমিল্লার দাউদকান্দিতে চলন্ত বাসে আগুন লেগে দুজন নিহতের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চালক ও বাসমালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মতলব সার্ভিসের ওই বাসের মালিক মিজানুর রহমান ও চালকের বিরুদ্ধে শুক্রবার মামলা করেছে পুলিশ। চালকের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, নিহত দুজনের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাসটি পৌঁছালে হঠাৎ আগুন লাগে। এ সময় বাসের ভেতরেই দগ্ধ হয়ে মারা যায় চার বছরের সাফিন ও ৭৫ বছরের রফিকুল ইসলাম। আহত হন অন্তত ২১ জন।
দাউদকান্দি ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা ফয়েজ আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, বাসের ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে শর্টসার্কিট থেকে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘বাসের সিলিন্ডারগুলো অক্ষত রয়েছে। যদি সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতো তাহলে গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়ত। আমরা যখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি তখন দেখি বাসের ভেতরে সিলিন্ডারগুলো অক্ষত রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী আবু মুসা জানান, ‘হঠাৎ করেই চোখে পড়ে বাসটির সামনের অংশ আগুনে জ্বলছে। কিছুদূর যাওয়ার পর আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দেখলাম যাত্রীরা চিৎকার করছে। কেউ কেউ বাসের জানালার কাচ ভেঙে লাফিয়ে পড়ছে।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী আবদুল জলিল বলেন, ‘বিস্ফোরণের কোনো আওয়াজ পাইনি। তবে মানুষজনের চিৎকারের কারণে দৌড়ে কাছে যাই। এ সময় আগুনের যথেষ্ট তাপ ছিল। কাছে যাওয়ার সুযোগ পাইনি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম খান নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় এখনও কোনো তদন্ত কমিটি হয়নি। তবে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার করে এবং আহত ৯ জনের পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া অংশে বালুয়াকান্দি রংধনু ফিলিং স্টেশনের সামনে নোয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীসেবা পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগে।
এ সময় তাড়াহুড়ো করে বাস থেকে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন পাঁচ যাত্রী।
ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সালাউদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, বাসের সিলিন্ডারের গ্যাস লিকেজ থেকে পাইপে আগুন লাগে।