রাজশাহী মহানগরীতে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন এক যুবক।
তার নাম মনিরুল ইসলাম সজল। বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচণ্ডী পূর্বপাড়া গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাফেটেরিয়াতে কাজ করতেন। মাসুদ রানা সেই ক্যাফেটরিয়ার মালিক।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বুধবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এক বছর আগে সজলের সঙ্গে তার স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ওই নারীকে বিয়ে করেন মাসুদ রানা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন সজল। মাসুদ রানাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করেন।
তিনি আরও জানান, সজলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে মাসুদের মোটরসাইকেল তল্লাশি করে ১০ গ্রাম হেরোইন ও আটটি ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করেন মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
পুলিশ মাসুদ রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদারবক্স হলের গার্ড হিসেবে কর্মরত। জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি নিশ্চিত হয় মাসুদ রানা মাদক সেবন বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন।
পরে ডিবি সজলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানতে পারে তিনি মাসুদকে ফাঁসানোর জন্যই তার (মাসুদ) মোটরসাইকেলে মাদক লুকিয়ে রেখে পুলিশে খবর দেন।
একপর্যায়ে সজল স্বীকার করেন যে, মাসুদ তার সাবেক স্ত্রীকে বিয়ে করায় প্রতিশোধ নিতেই তিনি (সজল) এই কাজ করেছেন।
বুধবার পুলিশের করা মাদক মামলায় সজলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সজল কোথা থেকে এবং কীভাবে মাদক এনেছেন তা খতিয়ে দেখছে ডিবি।