ফেনীতে ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ মা মেহেরুন নেছা লিপি মারা গেছেন।
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে মারা যান তিনি।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেরুনের দেবর শাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর আবুল কাশেম।
মেহেরুনের মরদেহ বুধবার রাত ৭টার দিকে হাসপাতাল থেকে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের করেরহাটে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণ, দগ্ধ মা-দুই মেয়ে
শাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আহত অপর দুইজনের মধ্যে ছোট মেয়ে হাফসা ইসলাম এখনও চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার তাকে লাইফ সাপোর্ট থেকে হাসপাতালের বেডে রাখা হয়েছে। বড় মেয়ে মরিয়ম ইসলামকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে।’
ফেনী পৌরসভার এই ভবনের পঞ্চম তলায় ঘটে বিস্ফোরণ। ছবি: নিউজবাংলা
ছোট মেয়ে হাফসা ফেনীর হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে ও বড় মেয়ে মরিয়ম সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তাদের মা মেহেরুন নেছা গৃহিণী। মেয়েদের লেখাপড়ার জন্যই এই এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন প্রবাসী মাহবুব ইসলামের স্ত্রী মেহেরুন নেছা।
৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে ফেনী শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভবনে গ্যাসের চুলা থেকে বের হওয়া জমানো গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন মেহেরুন নেছা ও তার দুই মেয়ে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বিস্ফোরণ: মা ও এক মেয়ে আইসিইউতে
পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের দুলামিঞা সড়কের সফিক ম্যানশন নামের ছয়তলা ভবনটির পাঁচতলায় এই বিস্ফোরণ ঘটে।
মরিয়ম ও হাফসার ফুফাতো ভাই আরিফুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা রাতে তাদের বাসার গ্যাসের চুলা চালু ছিল। সেখান থেকে গ্যাস লিক করার পর রাতে যখন তারা মশা মারতে ইলেকট্রিক ব্যাট চালু করে তখন সেখান থেকে স্পার্ক হয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।’