চট্টগ্রামে অবৈধভাবে খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামের (এউএসটিসি) একটি ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
বুধবার সকালে উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে নগরীর খুলশী থানার গয়নার ছড়া খালের ওপর নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ ভবনের একাংশ গুড়িয়ে দেয়া হয়।
সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল আলমের নেতৃত্বে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা করেন।
ভবনটি গুড়িয়ে দেয়ার সময় সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মঈনুদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের মাধ্যমে নগরের ৩৬টি খালের দখল হওয়া অংশ উদ্ধার ও পুনঃখনন করা হবে। এর আওতায় ইউএসটিসির এই ভবনটির একাংশ গয়নার ছড়া খাল দখল করে নির্মিত হওয়ায় তা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
তাছাড়া ভবনটি নির্মাণের সময় সিডিএ থেকে ১৬ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ ১৮ তলা ভবন নির্মাণ করেছে। এর আগে বেশ কয়েকবার সতর্ক করার পরও ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভবনটির অবৈধ অংশটুকু সরিয়ে ফেলার জন্য সিডিএ’র কাছ থেকে ৯০ দিন সময় নেয় ইউএসটিসি।
৯০ দিন সময় ২০২০ সালে পার হয়ে গেলেও ভবনটি ভাঙেনি তারা। তাই সিডিএর উদ্যোগেই ভবনটির অবৈধ অংশ গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
২০১৮ সালে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শুরু করে সিডিএ। এই প্রকল্পের আওতায় কর্ণফুলীর সঙ্গে সংযুক্ত ১৬টি খাল ও এই খালগুলোর সঙ্গে যুক্ত আরও ২০টি খাল দখলমুক্ত এবং পুনঃখননের সিদ্ধান্ত হয়। এরইমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় খালগুলো থেকে ৩ হাজার ১৫৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।