বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মাদ্রাসার সেই শিশুকে জন্মদিনের উপহার ইউএনওর

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ১৮:৩০

৯ মার্চ শিশুটির জন্মদিনের কথা জানতে পেরে ১০ মার্চ বুধবার সকালেই তার বাড়িতে খেলনা নিয়ে যান ইউএনও রুহুল আমিন।

ভিডিও ভাইরাল হওয়া মারধরের শিকার সেই শিশুটির জন্মদিন ছিল সেদিন। জন্মদিনে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মা। ছেলেকে দেখে বাড়ি ফেরার সময় শিশুটি তার পিছু নেয়।

এরপরের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই দেখেছেন।

শিশুটিকে ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছেন একজন শিক্ষক। কক্ষে নেয়ার পর জুতা ও সরু বেত দিয়ে শুরু করেন বেদম মার।

মঙ্গলবার বিকেলের ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মাদ্রাসা থেকে শিশুশিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন। আটক করা হয় নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে।

তবে নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারের অনীহার কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি বলে নিউজবাংলাকে জানান ইউএনও রুহুল আমিন।

ইউএনওর কাছে করা লিখিত আবেদনে শিশুর পরিবার থেকে বলা হয়, ‘হিফজ বিভাগের শিক্ষক তাকে ধরে এনে বেদম প্রহার করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। উক্ত ঘটনায় আমরা বাবা-মা দুজনই মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি। তথাপি সন্তানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব না। এমতাবস্থায় আটক শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ার বিনীত আবেদন করা হলো।’

এরপর ওই শিক্ষককে ছেড়ে দেয়া হয়। তবে মাদ্রাসা পরিচালককে ডেকে ইয়াহইয়াকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করান ইউএনও।

ঘটনার দিন ৯ মার্চ শিশুটির জন্মদিনের কথা জানতে পেরে ১০ মার্চ বুধবার সকালেই হাটহাজারী সদরে তার বাড়িতে খেলনা নিয়ে যান ইউএনও রুহুল আমিন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টও দিয়েছেন।

লিখেছেন, ‘আট বছরের শিশুটির (সাংবাদিকতার নীতি অনুযায়ী নিউজবাংলা শিশুটির নাম প্রকাশ করছে না) গতকাল জন্মদিন ছিল। আজ সকালে জানার পরে খেলনা উপহার নিয়ে গেলাম বাসায়। জিজ্ঞেস করলাম খেলনা পছন্দ হয়েছে? ছেলেটির ঝটপট উত্তর খেলনা পছন্দ হয়েছে। আরও দুইটা জিনিস আমার ভালো পছন্দ। আমি জিজ্ঞেস করলাম কী কী? গুল্লি (খেলনা বন্দুক) এবং নিমোট (রিমোট) গাড়ি। আচ্ছা, রাতে কিনে নিয়া আসব? তাহলে দুইটা করে আনবেন। দুইটা করে কেন? আমার ছোট ভাইয়ের জন্যও আনবেন। আচ্ছা।’

ইউএনও আরও লেখেন, ‘ছেলেটার শরীরের ব্যথা নয়, মনের ব্যথা কমানোর চেষ্টা করছি। শরীরের ব্যথা হয়তো নাপা খেলেই সেরে যাবে। সে দ্রুত ভুলে যাক এই জন্মদিনের স্মৃতি।’

এ বিভাগের আরো খবর