বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছাত্র পেটানোয় মাদ্রাসা শিক্ষকের সাত দিন জেল

  •    
  • ১০ মার্চ, ২০২১ ১৬:১৯

‘গিয়ে দেখি সে কান্না করছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত লালচে ফোলা দাগ দেখিয়ে সে বলে, হুজুর আমাকে মারছে। পরে ছেলেকে নিয়ে  ইউএনও স্যারের কাছে যাই। স্যারকে বিষয়টা জানাই।’

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাদ্রাসার এক শিশুকে বেধড়ক পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার মধ্যেই ময়মনসিংহে ছাত্র পেটানোর অভিযোগে মাদ্রাসার এক শিক্ষককে সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ময়মনসিংহের নান্দাইলের বালিয়াপাড়া মহল্লার আমেনা মফিজ নুরুল কুরআন নূরানি ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পড়া ভুল করার কারণে তিনি পিটিয়েছেন এক ছাত্রকে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরশাদ উদ্দীনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বুধবার দুপুরে শফিকুল ইসলামকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রের বাবা পৌর এলাকার কাটলিপাড়া গ্রামের জুয়েল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পড়া ভুল হওয়ার কারণে সকালে ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে মারপিট করে। ছেলের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি মাদ্রাসায় ছুটে যাই।

‘গিয়ে দেখি সে কান্না করছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত লালচে ফোলা দাগ দেখিয়ে সে বলে, হুজুর আমাকে মারছে। পরে ছেলেকে নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে যাই। স্যারকে বিষয়টা জানাই।’

ইউএনও এরশাদ উদ্দীন বলেন, ‘শিশু শিক্ষার্থীকে বেদম প্রহারের অভিযোগ পেয়ে ওই মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি নামের হাফেজি মাদ্রাসায় এক শিশুকে বেদম পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, মায়ের পিছু পিছু আসা এক শিশু শিক্ষার্থীকে ঘাড় ধরে নিয়ে যাচ্ছেন একজন শিক্ষক। তারপর কক্ষে নেয়ার পর সরু বেত দিয়ে বেদম মারতে শুরু করেন।

এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর মাদ্রাসা থেকে শিশু শিক্ষার্থীটিকে উদ্ধার করেন হাটহাজারীর ইউএনও রুহুল আমিন। আটক করা হয় নির্যাতনকারী শিক্ষক হাফেজ ইয়াহইয়াকে।

তবে নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবারের অনীহার কারণে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যায়নি বলে নিউজবাংলাকে জানান ইউএনও রুহুল আমিন।

লিখিত আবেদনে ওই শিশুর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, ‘হিফজ বিভাগের শিক্ষক তাকে ধরে এনে বেদম প্রহার করে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। উক্ত ঘটনায় আমরা বাবা-মা দুজনই মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ হয়েছি। তথাপি আমার সন্তানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কোনো আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব না। এমতাবস্থায় আটক শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ার বিনীত আবেদন করা হলো।’

এ বিভাগের আরো খবর