বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারায়ণগঞ্জে হকার উচ্ছেদ নিয়ে সংঘর্ষ-আগুন

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২১ ১৯:০২

কয়েক দিন ধরেই জেলা পুলিশ ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করছে। বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়কে উচ্ছেদ অভিযানে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় হকারদের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও হকারদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে দুটি গাড়ি। একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সংঘর্ষের কারণে বঙ্গবন্ধু সড়ক ও সলিমুল্লাহ সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন এ পথে চলাচলকারীরা।

পুলিশ বলছে, যারা সহিংসতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বঙ্গবন্ধু সড়কে সংঘর্ষের সূত্রপাত।

পৌনে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, কয়েক দিন ধরেই জেলা পুলিশ ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করছে। এরই ধারবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু সড়কে যান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ফুটপাতে বসতে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হকার্স সংগ্রাম পরিষদ। চাষাঢ়া থেকে কালীর বাজারের দিকে যাওয়ার পথে পানোরামা প্লাজার সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে হকারদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় পুলিশ হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক আসাদুর রহমান আসাদকে আটক করে। পরে হকার্স নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ হকাররা বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধু পৌলের গির্জার সামনে সড়কে পুরোনো কাপড় ও কাঠে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এই বিক্ষোভ থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।

বিক্ষুব্ধরা সড়ক দুটির চারটি পয়েন্টে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দুটি যানবাহন ভাঙচুর করেন। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ গিয়ে সড়কের আগুন নেভায়। পরে হকাররা নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

হকার-পুলিশ সংঘর্ষের কারণে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়ক ও সলিমুল্লাহ সড়কে এক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পুলিশ-ফটোসাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) সুভাস চন্দ্র সাহা নিউজবাংলাকে জানান, ফুটপাত ও রাস্তা দখলমুক্ত রাখতে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ কাজ করছে। হকাররা আলোচনা না করে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছেন।

তিনি বলেন, পুলিশ ধৈর্য ধরেছে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। যারা সহিংসতা করছেন এবং সড়কে আগুন দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কয়েকজন হকার জানান, ফুটপাতে বসতে দেয়ার দাবিতে ছয় দিন ধরে হকার্স সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করছেন তারা। বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করলে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে ও হকার নেতাকে আটক করে। পরে বিক্ষুব্ধ হকাররা পুলিশকে ইটপাটকেল ছুড়ে সড়কে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন হকার আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারা।

২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসানো নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থক এবং হকারদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে মেয়র আইভীসহ অর্ধশতাধিক অনুসারী আহত হন। এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু তদন্ত কমিটি আজও প্রতিবেদন জমা দেয়নি।

পরে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন বঙ্গবন্ধু সড়ক বাদ দিয়ে নগরীর ৪টি সড়কের ফুটপাতে হকারদের বসতে সাময়িক অনুমতি দেয়। কিন্তু হকাররা ওই ৪টি সড়ক ছাড়াও বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাত দখল করে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের পসরা সাজিয়ে বসাতেন। এতে পথচারীসহ নগরবাসীকে চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হতো।

এ বিভাগের আরো খবর