টাঙ্গাইলে মুখে হেক্সিসল ঢেলে স্ত্রী হত্যার চেষ্টা, নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় আসামি ফয়সাল আহমেদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন মঙ্গলবার দুপুরে এই নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ নিশ্চিত করেছেন।
ফয়সাল আহমেদের বাড়ি কালিহাতী উপজেলার হাওড়াপাড়া গ্রামে। তিনি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক।
মামলায় বলা হয়, ২০১৭ সালের ৫ মে ধনবাড়ী উপজেলার দড়িবিয়াড়া গ্রামের রাফিজা সুলতানার সঙ্গে ফয়সাল আহমেদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা যৌতুক হিসেবে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি মোটরসাইকেল দেন।
বিয়ের এক বছর পর ডিপিএসের মাধ্যমে টাকা জমানোর কথা বলে ফয়সাল ওই স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তার বাড়িতে দুটি ঘর নির্মাণ করেন। পরে এলেঙ্গা পৌর এলাকায় জায়গা কেনার জন্য স্ত্রীকে তার বাবার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দেন।
এই টাকা না পেয়ে ফয়সাল তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠকও হয়। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর কৌশলে রাফিজাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এলেঙ্গায় ফয়সালের বোনের বাড়িতে নিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
একপর্যায়ে ফয়সাল, শ্বশুর ইসমাইল হোসেন, ভাসুর রনজু মান্নান ও ভাবী মোছা. কুসুমসহ কয়েকজন জোর করে রাফিজাকে হেক্সিসল খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।
রাফিজার অবস্থা অবনতি হলে অভিযুক্তরা তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় রাফিজা সুলতানা ১৬ সেপ্টেম্বর ফয়সালসহ তার পরিবারের সদস্যদের নামে নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা করেন। ১৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর থেকে ফয়সাল আহমেদসহ পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ নিউজবাংলাকে জানান, ফয়সাল আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তার জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।