সাতক্ষীরায় ছোট ভাই হত্যায় অভিযুক্ত বড় ভাইয়ের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় একটি আমবাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন শাহজাহান মল্লিক নামে ওই ব্যক্তি। রোববার রাতে বাড়ির সামনে পাওয়া যায় তার ছোট ভাই মন্তেজ মল্লিকের মরদেহ। সে সময় তাদের বাবা অভিযোগ করেছিলেন, শাহজাহান মন্তেজকে কুপিয়ে পালিয়ে যান।
কলারোয়ার জয়নগর ইউনিয়নের খোরদো-বাটরা গ্রামের একটি আমবাগানে মঙ্গলবার ভোরে শাহজাহান মল্লিকের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় এক নারী।
সুচিত্রা শীল নামের ওই নারী নিউজবাংলাকে জানান, ভোরে তাদের আমবাগানে গিয়ে তিনি এক ব্যক্তিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলে থাকতে দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য বজলুর রহমান পুলিশে জানান।
খোরদো পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিক টিপু নিউজবাংলাকে জানান, সকাল ১০টায় গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পকেটে থাকা মানিব্যাগ থেকে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে শাহজাহানকে শনাক্ত করা হয়।
তৌফিক আরও জানান, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, শাহজাহান আত্মহত্যা করেছেন।
মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
- আরও পড়ুন: ‘জমি নিয়ে বিরোধে’ ভাইয়ের হাতে খুন
এর আগে পাটকেলঘাটার বাড়িতে রোববার রাতে মন্তেজ আলী মল্লিককে হত্যার অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। তাদের বাবা আব্দুল মজিদ মল্লিক নিউজবাংলাকে জানান, ‘রোববার রাত সাড়ে সাতটার দিকে মন্তেজ বাড়ির গেটের সামনে আসামাত্রই গেটের ভিতরে লুকিয়ে থাকা শাহজাহান তার মাথায় দা দিয়ে কোপ মারে। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়।’
মন্তেজকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও পরে খুলনা ৫০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার সময় পথে তার মৃত্যু হয়।
মজিদ জানান, তার দুই ছেলে এলাকার দুটি মোটর গ্যারেজের শ্রমিক ছিলেন। একটি জমি নিয়ে ভাইপো রমজান মল্লিকের সঙ্গে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। জমি নিয়ে মামলাও চলমান। ওই মামলা চালাতে আড়াই লাখ টাকার মতো লোন জমে যায় তাদের। সেই টাকা পরিশোধের জন্য জমিটি বিক্রি করতে চান তার দুই ছেলে। ওই জমির ভাগ নিয়ে ছেলেদের মধ্যে আবার বিরোধ দেখা দেয়।
এ ঘটনায় সোমবার মন্তেজের স্ত্রী পিয়া বেগম শাহজাহানসহ তিনজনের নামে পাটকেলঘাটা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার পর শাহজাহানকে ধরার জন্য পুলিশের অভিযান চলছিল।