চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে আটক ছয়জনকে।
বায়েজিদ থানায় সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা করেন নিহত মো. ইমনের বাবা নুর কাশেম। তাতে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছন।
এর আগে বায়েজিদ বোস্তামী থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোববার দিবাগত রাতে ছয়জনকে আটক করে ওই থানার পুলিশ।
ওসি প্রিটন বলেন, ওই ছয়জনকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাদের মঙ্গলবার আদালতে তুলে রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নিহত হন।
ইমনের বন্ধু মোহাম্মদ ইয়াছিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি, ইমনসহ কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির খলিলের দোকানে বসে কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছিলাম। এই সময় হঠাৎ করে ৫০-৬০ জন লোক এসে ধর ধর চিৎকার করে আমাদের ধাওয়া করে।
‘তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাদের ধাওয়া খেয়ে আমরা দৌড়ে পালাই। কিন্তু ইমনকে তারা ধরে ফেলে। দূর থেকে দাঁড়িয়ে আমরা দেখছিলাম, ইমনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করছে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে তারা চলে যায়। পরে এসে দেখি ইমন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।’
নিহত ইমন সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানজির আহমেদের কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।
অভিযোগ ওঠে, হামলাকারীরা চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আবু মহিউদ্দীনের অনুসারী।
হামলার ব্যাপারে জানতে আবু মহিউদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।