বগুড়া মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় করা এক মামলায় যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে দুই দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক শাহরিয়ার তারিক সোমবার এই অনুমতি দেন। মামলায় জামিন জালিয়াতি করে কারাগারে রয়েছেন আমিনুলসহ ৩০ আসামি।
আমিনুল বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং বগুড়া সদর উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।
বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়।
এর মধ্যে একটিতে আমিনুলকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নামে মামলা করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন।
মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়। বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।
এ আদেশের পর গত ৪ মার্চ আমিনুলসহ ১৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাদের কারাগারে পাঠায় আদালত। এর আগের দিন আত্মসমর্পণ করা অন্য ১৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্নু খান জানান, দীপনের করা মামলার প্রধান আসামি আমিনুলকে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়। আদালত দুই দিনের অনুমতি দিয়েছে। আমিনুল ছাড়া অন্য কোনো আসামির রিমান্ড আবেদন করা হয়নি।