ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় রোববার রাতে রাজু মিয়া নামের এক তরুণ খুন হয়েছেন।
আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের টানা ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। স্বজনদের অভিযোগ, শুভ মিয়া নামের এক যুবক ডেকে নিয়ে রাজুকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে রাজুর মৃত্যু হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুভ মিয়ার মা-বাবা ও এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাজু দেবগ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের কমলপুর উপজেলায়। তিনি আখাউড়ায় ডিশ লাইনের কর্মী ছিলেন।
রাজুর বাবা আলমগীর মিয়া নিউজবাংলাকে জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি আখাউড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। রাজু রোববার রাত ৯টার দিকে দেবগ্রামের টানা ব্রিজের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় শুভ তাকে ডেকে একটু ভেতরে নির্জন জায়গায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন। খবর পেয়ে গুরুতর অবস্থায় রাজুকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। ঢাকায় নেয়ার পথে আশুগঞ্জ এলাকায় রাজু মারা যান।
রাজুর মা আনোয়ারা বেগম বলেন, কয়েক মাস আগে শুভকে একই এলাকার এক মেয়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলতে দেখেন রাজু। এ নিয়ে দুজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই রাজুকে খুন করেছেন শুভ।
পুলিশ জানিয়েছে, শুভ মিয়ার বাড়ি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায়। তিনি সপরিবার পৌর এলাকার দেবগ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঘটনার পরপরই তিনি স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন।আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, মেয়েটার সঙ্গে রাজু ও শুভর ঘনিষ্ঠতা ছিল। এর জেরেই এ খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য রাজুর মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মেয়ে এবং শুভ মিয়ার মা-বাবাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।