বরিশাল নগরীর পলাশপুর গুচ্ছগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবন্ধী যুগলের বিয়ে। বর কালাম বেপারী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং কনে সুমা আক্তার শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী।
রোববার তাদের বিয়ের পর, সোমবার অনুষ্ঠিত হয় গায়ে হলুদ। পুরো আয়োজন আনন্দ-উল্লাসে মাতিয়ে রাখেন আমন্ত্রিত অতিথিত ও স্থানীয়রা। এমনকি অতিথি আপ্যায়নে এলাকার লোকজন চাঁদা তুলে সহযোগিতাও করেন।
আলামিন হোসেন নামে পলাশপুর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, বর কালামের গ্রামের বাড়ি বাকেরগঞ্জের কালীগঞ্জ গ্রামে। মা–বাবা নেই। তারা দুই ভাই। কালাম ছোট। বড় ভাই আবদুস সালামও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।
বর কালাম শ্রমিকের কাজ করে যা আয় করেন, তা দিয়ে পলাশপুরের গুচ্ছগ্রামে ছোট একটি ঘরে ভাড়া থাকেন।
আর কনে সুমার বাবা বাবুল পালওয়ান। তিনি রিকশা চালান।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ হাজার টাকা চাঁদা তুলে বর কনের পোশাকসহ বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। এলাকার নারী, পুরুষ, শিশুরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় অংশ নেন এ আনন্দ আয়োজনে।
রোববার বিয়ে শেষে কনের বাড়ি থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বর-কনেকে আনা হয় বরের বাড়িতে।
বর কালাম বেপারী বলেন, ‘আমার তো তেমন কোনো আয়-বাণিজ্য নাই। একলা চলি। ভাতার টাহা দিয়াই চলতাম। একটু চিন্তায় আছি। তয় ভাল্লাগতেছে।’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি বলেন, ‘এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই বিয়ের আয়োজন হয়েছে। বেশ মজা, আনন্দ করেছে সবাই। প্রতিবন্ধী বরের সুবিধার্থে আমি নিজে একটি হুইল চেয়ার উপহার দিয়েছি। ভবিষ্যতেও তাদের যে কোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার চেষ্টা করবো আমি।’