খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় পাত্র দেখানোর কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় একজন মাছ ব্যবসায়ীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ধর্ষণের মামলার আসামি মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পাইকগাছা থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই দিন রাত ১২টার দিকেই ওই ছাত্রীর মা পাইকগাছা থানায় মিজানুর ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পাইকগাছা উত্তর সলুয়া এলাকার মিজানুর মাছ বিক্রির জন্য ওই ছাত্রীর বাড়িতে প্রায়ই যেতেন। দীর্ঘদিন যাতায়াতের সুবাদে ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তার সখ্যতা হয়। মিজানুর ওই ছাত্রীকে ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। গত বুধবার এক পাত্র মিজানুরের বাসায় এসেছেন বলে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে বাসায় যেতে বললে তারা মিজানুরের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে কোনো পাত্র ছিলেন না। তখন জানতে চাইলে মিজানুর বলেন, একটু পর পাত্র চলে আসবে। একপর্যায়ে মিজানুর ওই স্কুলছাত্রী ও তার মাকে শরবত খেতে দেন। এরপর তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে ওই মেয়েটির মা বাড়িতে কাউকে দেখতে পাননি। এমনকি তার মেয়েও নেই। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে তার স্বামীকে জানান। পরদিন সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি বাজার এলাকা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেন তার মা-বাবা।
ওই ছাত্রী তার মাকে জানায়, মিজানুরসহ তিনজন তাকে কয়রা থানার একটি বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে তাকে কপিলমুনি বাজার এলাকায় রেখে যান মিজানুর। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে গ্রাম্য ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।