বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাটকলের শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৮ মার্চ, ২০২১ ১৬:০১

২০১৯ সালের বকেয়া বিল, বদলি শ্রমিকের এরিয়া বিলসহ নয় দফা দাবিতে মিল গেটে সমবেত হয় শ্রমিকরা। যতদিন দাবি মানা না হবে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানান বিক্ষুব্ধরা।

অস্থায়ী চাকরি, বদলি ও মৃত শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধের দাবিতে নরসিংদীর ইউএমসি (ইউনাইটেড, মেঘনা, চাঁদপুর) পাটকলের শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী মূল গেইটের সামনে বিক্ষোভ করেছেন।

সোমবার সকাল ১১টার দিকে শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি।

আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার ২০২০ সালের ১ জুলাই ইউএমসি মিলের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তারপর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব পাওনা টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেয় মিল কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে শ্রমিকরা বেশ কয়েকবার মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও বকেয়া।

সোমবার সকালে ২০১৯ সালের বকেয়া বিল, বদলি শ্রমিকের এরিয়া বিলসহ মোট নয়টি দাবিতে মিল গেটে সমবেত হয় শ্রমিকরা। যতদিন এসব দাবি মানা না হবে ততদিন এ আন্দোলন চলবে বলে জানান শ্রমিকরা।

শাহাদাত হোসেন নামে এক শ্রমিক জানান, গত ২৬ বছর ধরে তিনি এই মিলে বদলি শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, ‘এখানে কাজ করে জীবনটাই শেষ করে ফেলেছি। কিছুই পেলাম না। গত বছর স্থায়ীভাবে মিল বন্ধ হওয়ার পর একেবারেই বেকার আমরা।’

রাজিয়া বেগম নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘আমি ১২ বছর ধরে এখানে কাজ করি। বকেয়া বেতনসহ বিভিন্নভাবে আমার প্রায় দুই লাখ টাকা পাওনা মিলের কাছে। আমি গরিব মানুষ, আমার পাওনা টাকাগুলো চাই।’

মের্শেদ আলম কাজ করেছেন ২৫ বছর ধরে। গত বছরের জুলাইয়ের পর থেকে তিনিও বেকার। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বড় বড় কর্মকর্তারা লাখ টাকা বেতন পাবেন আমরা না খেয়ে মরব কেন? আমরা প্রতিটা হিসাবের স্পষ্টতা চাই আর পাওনা টাকা চাই।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হয় ইউএমসি পাটকলের জেনারেল ম্যানেজার শাহাদাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘স্থায়ী শ্রমিকদের টাকা আমরা পরিশোধ করেছি। অস্থায়ী বা বদলি প্রায় ২ হাজার ৯০০ শ্রমিক রয়েছে। তাদের বেশকিছু বকেয়াও রয়েছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি এই বিষয়ে।

‘টাকা পাইনি এখনও, টাকা পেলেই তাদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে।’

হিসাবের খাতা প্রদর্শন করেছেন কি না এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আসলে কত টাকা পাওনা তা বের করতে হলে খাতাপত্র ঘাটতে হবে। আমরা তাদের টাকা মেরে দিবো না, সরকার টাকা দিচ্ছে না, না দিলে আমরা কিভাবে দিবো?’

নরসিংদী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পরিতোষ চন্দ্র বলেন, ‘শ্রমিকরা নয়টি দাবিতে মিলগেটের সামনে অবস্থান নেন। এখানে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তারা দুপুরে যার যার অবস্থানে চলে গেছেন। এখন পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর