চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে সংগঠনের এক কর্মী নিহতের ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে রোববার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানান বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
‘নিহত ইমনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে ইমনের দাফন শেষে থানায় আসবে। তারা আসলে মামলা নেয়া হবে।’
এর আগে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা কলোনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নিহত হন।
নিহত ২৭ বছরের যুবক মো. ইমন মুক্তিযোদ্ধা কলোনির নুর কাশেমের ছেলে।
নিহত ইমনের বন্ধু মোহাম্মদ ইয়াছিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি, ইমনসহ কয়েকজন মিলে মুক্তিযোদ্ধা কলোনির খলিলের দোকানে বসে কোল্ড ড্রিংকস খাচ্ছিলাম। এই সময় হঠাৎ করে ৫০-৬০ জন লোক এসে ধর ধর চিৎকার করে আমাদের ধাওয়া করে।
‘তাদের হাতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাদের ধাওয়া খেয়ে আমরা দৌড়ে পালাই। কিন্তু ইমনকে তারা ধরে ফেলে। দূর থেকে দাঁড়িয়ে আমরা দেখছিলাম, ইমনকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করছে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে তারা চলে যায়। পরে এসে দেখি ইমন রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে।’
নিহত ইমন সদ্য ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তানজির আহমেদের কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত।
অন্যদিকে হামলাকারীরা হচ্ছে চট্টগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মহিউদ্দীনের অনুসারী।
হামলার ব্যাপারে জানতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবু মহিউদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।