বরিশাল নগরীতে জনপ্রিয় টেইলারিং ব্র্যান্ড টপটেনের শোরুমে দুর্ধর্ষ ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় ৫০ থেকে ৬০ জন কিশোর-যুবক দলবেঁধে ওই শোরুমে ঢুকে মালামাল লুট করে বলে দাবি করেন শাখা ব্যবস্থাপক মো. মিরাজ। এ সময় প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১০ জন কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও জানান তিনি।
আটকরা হলেন ব্রজমোহন কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও সিটি করপোরেশনের যানবাহন লাইসেন্স শাখার কর্মচারী মো. রাকিব, মো. নোহান, শুভ্র, শাহাদাৎ ও সজীব। রাকিব ছাড়া সবার বাড়ি বাবুগঞ্জ উপজেলায়।
ব্যবস্থাপক মো. মিরাজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে অর্ধশতেরও বেশি যুবক ক্রেতা সেজে দলবেঁধে শোরুমে প্রবেশ করে। এ সময় তারা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের লোক বলে নিজেদের পরিচয় দেয়।
‘কিছু সময় পর নতুন জামা, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, ঘড়ি, কসমেটিকসসহ মূল্যবান সব পণ্য লুট করে দোকানের গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। এ সময় স্টাফদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। একপর্যায়ে কয়েকজনকে আটক করা হয়।’
বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যারা লুটের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ আমার অনুসারী না। রাজনৈতিকভাবে হেয় করতে আমার নাম জড়ানো হচ্ছে।
আটক মো. রাকিব বলেন, ‘আমরা কেনাকাটার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের মারধর করা হয়েছে।’
একই দাবি করে আরেক কিশোর শুভ্র। তিনি বলেন, ‘বোনকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছি বরিশালে। শার্ট কিনতে এই শোরুমে আসি। কিন্তু স্টাফদের সঙ্গে কয়েকজন ক্রেতার মারামারি হয়। তখন আমাকে ধরে মারধরের পর পুলিশে দেয়া হয়।’
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, আটকদের থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
১২ দিন আগে নগরীর বিবির পুকুরপাড়ে বেশ বড় পরিসরে এই শোরুম যাত্রা করে।