ধান, আলু, সরিষা বা অন্য কোনো ফসল নয়, এবার জয়পুরহাট সদরের পুরানাপৈল বনখুর মাঠে চাষ হয়েছে নিষিদ্ধ ফসল আফিমের মূল উপাদান পপি। তরকারির সুস্বাদু উপাদেয় পোস্তদানা মসলার জন্য যে পপি চাষ, তা না জেনেই একজনের চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন অনেক কৃষক। এভাবেই জেলায় বিস্তার লাভ করছিল পপি চাষ।
তবে কৃষি বিভাগের তথ্যে এ ফসল নিষিদ্ধ বলে পপি খেত কেটে তা জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর গ্রামে তরকারির সুস্বাদু উপাদেয় মসলা ভেবে আফিমজাতীয় নেশার আবাদ পপি চাষ শুরু হয় তিন বছর আগে। অল্প খরচে পপি চাষ করে অধিক লাভের আশায় বর্তমানে এ ফসলের চাষ বেড়েছে প্রায় সাত বিঘা জমিতে। এই গ্রামে বর্তমানে মরণ নেশা আফিমের কাঁচামাল হিসেবে এই পপি চাষ করেছেন পাঁচ কৃষক। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে পপি খেতগুলো কেটে জব্দ করেছে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই সাত বিঘা জমিতে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ গাছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার পিস পপি ফল খেত থেকে কেটে তা র্যাব হেফাজতে নিয়ে সেগুলো ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই পাঁচ চাষির সবাইকে আটক করা হয়েছে।’
আটক ব্যক্তিরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার বনখুর গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ দাস, নইমুদ্দিন মন্ডল, গোলাম মোস্তফা, পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব বালিঘাটা গ্রামের ছেলে রিপন সর্দার ও বালিঘাটা বাজারের নেপাল চন্দ্র দাস।
তাদের জয়পুরহাট সদর থানায় সোপর্দ করেছে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব অধিনায়ক।