কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়ায় সীমা বৌদ্ধ বিহারের জায়গা দখলের অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় রাখাইন জনগোষ্ঠী।
মন্দিরের সামনে শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এ মানববন্ধন হয়।
রাখাইনদের অভিযোগ, মানবিক কারণে ১১ থেকে ১২ বছর আগে মন্দিরের জায়গায় অস্থায়ী দোকান করে কয়েকজনকে ব্যবসা করতে দেয়া হয়েছিল। মন্দিরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় এখন তাদের সরে যেতে বলা হলে, তারা ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করছেন। রাখাইনদের নানাভাবে ভয়ভীতিও দেখানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়েও কোনো ফল না পাওয়ায় শনিবার মন্দির কমিটির উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু জানান, ১৯১১ সালে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজনের উপাসনা ও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য মন্দিরটি তৈরি করা হয়। এশিয়া মহাদেশের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধমূর্তি থাকায় এ মন্দিরে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক আসেন।
তিনি আরও জানান, জার্মান সরকারের অর্থায়নের ২০১৩ সালে সংস্কারের সময় মন্দিরটির চারদিকে সীমানা দেয়াল ও কাঁটাতারের বেড়া দেয়া হয়। তবে মানবিক কারণে মন্দিরের জমিতে থাকা আটটি দোকান সরানো হয়নি।
উত্তম ভিক্ষু অভিযোগ করেন, মন্দিরের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় সম্প্রতি দোকানদারদের সরে যেতে বললে তারা ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী সেকান্দার হাওলাদার।
মন্দিরের জমিতে গড়ে তোলা দোকান। ছবি: নিউজবাংলা
ওই স্থানের চা দোকানি মাইনদ্দিন জানান, তারা কয়েক বছর ধরে ওই স্থানে ব্যবসা করছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন, প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত দেবে, তারা তাই মেনে নেবেন।
এ বিষয়ে জানতে সেকান্দর হাওলাদারের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
মন্দিরের জমি থেকে দোকান সরাতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ নিউজবাংলাকে জানান, রাখাইনদের অভিযোগ পেয়েছেন। কাগজপত্রসহ উভয়পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বেতকাটা বৌদ্ধ বিহারের প্রতিনিধি মংচো তালুকদার, পক্ষিয়াপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিনিধি অংজোয়ে ও পটুয়াখালী বুড্ডিস্ট ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদার।