দিনাজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় সংবিধান সংরক্ষণ কমিটি সংবাদ সম্মেলন করেছে।
জেলার প্রেস ক্লাব কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংবিধান সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক ইমামুল ইসলাম, সদস্যসচিব এবিএম শফিকুর রহমান, আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান জাহানী।
আহ্বায়ক ইমামুল ইসলাম বলেন, আইনজীবী সমিতির বিধানমতে, বর্তমান কমিটির মেয়াদ বাংলা ১৪২৭ সনের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। কিন্তু বর্তমান কার্যকরী কমিটি তাদের মেয়াদ অবৈধভাবে বৃদ্ধি করার জন্য ৩ মার্চ বেলা আড়াইটায় এক সাধারণ সভা আহ্বান করে।
সেই দিন আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য মৌলানা হাবিবর রহমান মারা যান। সমিতির প্রথা অনুযায়ী, ফুলকোট রেফারেন্স ও শোক সভায় সব কার্যক্রম বাতিল করতে হয়। ৩ মার্চ শোক সভায় সমিতির সভাপতি অসৎ উদ্দেশ্যে সংবিধান বহির্ভূতভাবে সাধারণ সভাটি ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।
এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদ ও প্রগতিশীল আইনজীবী পরিষদের সমন্বয়ে ‘সংবিধান সংরক্ষণ কমিটি’ গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে অবৈধ সভা আহ্বানের প্রতিবাদে সমিতির সাধারণ আইনজীবীরা গঠনতন্ত্র রক্ষায় নতুন ভবনে প্রতীকী অনশন ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেন।
আহ্বায়ক ইমামুল ইসলাম আরও বলেন, ‘কর্মসূচি চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তাদের হামলায় আমরা ২০/২৫ জন আহত হই।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সামনে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়।
সে সময় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আইনজীবী সমিতির সদস্য জাকিয়া তাবাসসুম জুঁইও আহত হন। আহতদের মধ্যে সমিতির সদস্য সারওয়ার আহমেদ বাবু ও হাবিবুল্লাহকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পারভেজ সোহেল রানা বলেন, ‘রাতে এমপি জুঁই জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হতে আসেন। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি বমি করেছেন। তাই আমরা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিচ্ছি। বর্তমানে তাকে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে।’