বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিরাজগঞ্জে এবার বাড়ি থেকে শিশু চুরি

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ১৫:১০

শিশুটিকে নিয়ে কালো বোরকা পরা একজনকে কর্ণসুতি এলাকার দিকে যেতে দেখেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বাড়ি থেকে ২১ দিনের শিশু চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার বাড়াকান্দি গ্রামে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন জানান, শিশু কাওসার হোসেনের বাবা শহিদুল ইসলাম দিনমজুর। তিনি সকালে কাজে বের হয়ে যান। ঘরের কাজ শেষ করে মা ফরিদা পারভীন কাওসারকে ঘুম পাড়িয়ে রেখে বাড়ির পাশে শুকনো পাতা কুড়াতে যান। ঘরে ফিরে দেখেন কাওসার নেই।

শিশুটিকে নিয়ে কালো বোরকা পরা একজনকে কর্ণসুতি এলাকার দিকে যেতে দেখেছেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

বাড়ি থেকে নিখোঁজ ২১ দিন বয়সী শিশু কাওসার হোসেন। ছবি: নিউজবাংলা

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রাকিবুল হুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখন পর্যন্ত শিশুটির কোনো খোঁজ পাইনি। শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।’

এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সদ্যজাত শিশু সামিউল চুরি হয়।

এই ঘটনার চার দিন আগে সিরাজগঞ্জের ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিনের শিশু মাহিম চুরি হয়।

দ্বিতীয় ঘটনার দিন রাতেই জেলার আলোকদিয়া গ্রামের এক বাড়ি থেকে সামিউলকে জীবিত ও মাহিমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। আটক করা হয় দুই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে।

আটক ছয়জন হলেন সলঙ্গা থানার সয়রন বিবি, তার মেয়ে আলপনা খাতুন, ছেলে রবিউল ইসলাম ও তার স্ত্রী ময়না খাতুন এবং একই গ্রামের খাদিজা খাতুন ও মিনা খাতুন।

তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই দিনই সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

দুই শিশু চুরি হওয়ার ঘটনা নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) হাসিবুল আলম জানান, আটক আল্পনা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু চুরির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। প্রথমে চুরি করা এক শিশু মারা যাওয়ায় চার দিন পর হাসপাতাল থেকে আরেক শিশু চুরি করেন অভিযুক্তরা।

এসপি বলেন, ‘আল্পনা জানিয়েছেন, সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে ছেড়ে আরেকজনকে বিয়ে করার হুমকি দেন। এর পর গর্ভধারণের মিথ্যা দাবি করে মাস কয়েক আগে মা সয়রন বিবির কাছে চলে আসেন তিনি।’

এরপর মা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির পরিকল্পনা করেন।

১ মার্চ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের তত্ত্বাবধায়কের নিরাপত্তা কর্মী গোপাল চন্দ্র দাসকে আটক করে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর