বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়িতে বিস্ফোরণ, দগ্ধ মা-দুই মেয়ে

  •    
  • ৬ মার্চ, ২০২১ ০৮:২৫

পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের দুলামিঞা সড়কের একটি ছয় তলা ভবনের পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণ হলে আহত হন সেখানে থাকা মা ও তার দুই মেয়ে। বিস্ফোরণের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফেনী শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভবনে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছে এক নারী ও তার দুই মেয়ে।

পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুরের দুলামিঞা সড়কের সফিক ম্যানশন নামের ছয় তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।

খবর পেয়ে রাতেই ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ দগ্ধদের উদ্ধার করে। তারা হলেন ওই ফ্লোরের বাসিন্দা প্রবাসী মাহবুব ইসলামের স্ত্রী মেহেরুন নেছা লিপি এবং মেয়ে হাফসা ইসলাম ও মরিয়ম ইসলাম।

তাদের রাতেই ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।

বিস্ফোরণে আহত মেহেরুন নেছা লিপি। ছবি: নিউজবাংলা

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাড়ির পাশের ভবনের বাসিন্দা রাজু আহমেদ জানান, রাতে বিকট শব্দে চারদিক কেঁপে ওঠে। তখন তিনি বের হয়ে দেখেন ওই ভবনের পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটটির বারান্দার গ্রিল ও দেয়াল ভেঙে আছে। স্থানীয়দের সঙ্গে তিনিও ভবনের ভেতরে গিয়ে দেখেন, তিন তলা থেকে ছয় তলা পর্যন্ত কক্ষগুলোর জানালা ও দরজা ভেঙে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটটিই।

রাজু বলেন, বিস্ফোরণটি পঞ্চম তলাতেই হয়েছে। ওই বাসার দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ভেঙে গেছে। ওই বাসায় লিপি ও তার দুই মেয়ে ছাড়া আর কেউ থাকতেন না। তার স্বামী মাহবুব থাকেন সৌদি আরবে। ঘটনার পর স্থানীয়রাই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার (এসপি) খোন্দকার নুরুন্নবী ও পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।

মেয়র বলেন, ‘বিস্ফোরণে প্রতিটি রুমের দরজা ভেঙে চৌচির হয়ে গেছে। কী কারণে এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা জানা না গেলেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এসপি নুরুন্নবী বলেন, ‘পিবিআই ও সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ টিম ঢাকা ও কুমিল্লা থেকে আসছে। তারা সঠিক কারণ জানাবেন।’

এদিকে ছেলের বৌ ও দুই নাতনির আহত হওয়ার খবরে রাতেই সেখানে গিয়েছেন আবুল কাশেম। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে আসেনি। আমি সারা রাত ঘরের মালামাল পাহারা দিয়েছি।’

তিনি জানান, হাফসা স্থানীয় হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণিতে ও মরিয়ম সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তাদের লেখাপড়ার জন্যই এই এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন লিপি।

বিস্ফোরণের পর লিপি ও দুই মেয়েকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ইকবাল হোসেন তাদের পরীক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘মরিয়মের শরীরে পাঁচ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। আর হাফসা ও লিপির শ্বাসনালীসহ ৫০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। তাই আমরা তিনজনকেই ঢাকায় পাঠিয়েছি’।

এদিকে ভবনটিতে রহস্যজনক বিস্ফোরণের ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গেছে। ওই ভবনের অন্য বাসিন্দারাও অন্য বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে মোতায়েন আছে শহর পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল।

এ বিভাগের আরো খবর