দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় একটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূর স্বামী ঘোড়াঘাট থানায় শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ মামলা করেন।
আসামিরা হলেন উপজেলার বলগাড়ীগ্রামের আদর্শ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক নূর আলম ও হাসপাতালের চিকিৎসক আলী আকবর খান। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
স্বপ্না রানীর সঙ্গে তিন বছর আগে বিয়ে হয় উপজেলার শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের পিন্টু বাবুর।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে স্ত্রী স্বপ্নাকে নিয়ে আদর্শ হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপের জন্য যান পিন্টু। সেখানে চিকিৎসক নূর আলম আলট্রাসনোগ্রাম করে দ্রুত সিজার করার জন্য বলেন।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে একটি ফরমে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এরপর তিনি স্ত্রী স্বপ্নাকে হাসপাতালের একটি স্থানে বসিয়ে বলগাড়ী বাজারে টাকা উঠানোর জন্য যান। ফিরে এসে তার স্ত্রীকে খুঁজে পাননি।
পরবর্তী সময়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয়, তার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছে।
চিকিৎসক নূর আলম জানান, তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত অপারেশন করা হয়েছে। তার কন্যাসন্তান হয়েছে। তবে স্বপ্নার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ সময় হাসপাতালের একটি মাইক্রোবাসে তাদের উঠিয়ে রংপুরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের সঙ্গে একজন নার্স দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও হাসপাতাল কোনো নার্স দেয়নি।
রংপুরে যাওয়ার পথে সন্ধ্যায় ধাপেরহাট এলাকায় মাইক্রোবাসটি নষ্ট হলে বিকল্প মাইক্রোবাসে স্বপ্নাকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে স্বপ্নাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন নিউজবাংলাকে জানান, শুক্রবার সকালে পিন্টু বাবু অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যুর ঘটনায় ৩০৪ (ক) পেনাল কোড আইনে মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসকেরা পলাতক রয়েছেন।