রংপুরে একটি প্রতারক চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ।
তিনি জানান, গত বুধবার দুপুরে নীলফামারীর জলঢাকার এক ব্যবসায়ী রংপুর মেডিক্যাল মোড়ে যান। সেখানে তাকে রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকার বীণা রানী পূর্বপরিচিত বলে দাবি করে তার সঙ্গে তার বাড়ি নিয়ে আসেন। সেখানে বীণা ও তার সঙ্গীরা তাকে আটকে রাখেন এবং মারধর করেন। পরে ওই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা আড়াই লাখ টাকা রেখে তাকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। পরদিন ওই ব্যবসায়ী রংপুর নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে বীণাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বীণা প্রতারক চক্রের ১০ সদস্যের নাম জানান। তার দেয়া তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার নগরীর নুরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলেও জানান ওসি আব্দুর রশিদ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি, আহসান হাবীব, বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ, সেকেন্দার রাজা, শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম, সোহাগী ওরফে রাজিয়া, জোনাকি ওরফে তিশা, জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি, শাহনাজ ও লিজা মনি।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৩টি মোবাইল ফোন, তিনটি এটিএম কার্ড, ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওসি আব্দুর রশিদ আরও জানান, বীণার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার টাকা খোয়ান। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন তিনি।
বীণা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের দুটি মামলাও রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আসামিদের রংপুরের আমলি আদালত ৩-এ নিয়ে যাওয় হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।