সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ৭১’ এর লাগোয়া সরকারি খালের উপর মহাসড়কের ১০ মিটারের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করায় জেলা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ ও মামলা দায়েরের দাবি উঠে।
বৃহস্পতিবার সকালে শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক যাত্রীস্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত রিকশা ইউনিয়ন।
লিখিত বক্তব্যে সংবাদ সম্মেলনে ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল বলেন, ‘সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জস্থ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর-৭১’ সংলগ্ন তাকিপুর মৌজায় খতিয়ান নং-২ দাগ নং -৬২ এর খাল শ্রেনীতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ভূমিতে অবৈধ স্থাপনা বসিয়ে তাদের কর্মকর্তা মাসিক মাসোয়ারা নিচ্ছেন খালের উপর কিভাবে স্থাপনা হয় তা ভেবে পাওয়া যাচ্ছে না।’
ওই খালের উপর দোকান হওয়ায় জনদুর্ভোগ লেগেই আছে। জনদুর্ভোগের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় দরিদ্র ঠেলাচালক বাহার উদ্দিন নিহত হয়েছেন এর দায় সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীর উপর পড়ে। মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা থাকবে না মর্মে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে, কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী দীর্ঘদিন ধরে কোন কার্যত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আদালত অবমাননা করছেন।’
আদেশটি অনুরসরণ না করছেন তো নাই তিনি সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মহাসড়কের পাশে ১০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা না থাকার কথা থাকলেও প্রকৌশলী তাও পালন করছেন না।
তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে গরীবদের তুলে দিলেও অধিকাংশ ক্ষমতাবানদের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ হচ্ছে না।
সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত রিকশা ইউনিয়নের সভাপতি আপ্তাব উদ্দিন বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে চিহ্নিত অবৈধ ১৪টি স্থাপনা কি কারণে প্রকৌশলী উচ্ছেদ করছেন না তা আমার বোধগম্য নয়।’
এছাড়া গোলচত্বরের নামে আঁকাবাঁকা চত্বর তৈরি করেছেন, একটা গাড়ি ঘুরানোরও ভাল জায়গা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলে সাধারণ মানুষসহ যানবাহন সুন্দরভাবে চলাচল করতে পারবে।’
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনাগুলোর ব্যাপারে আমাকে সুস্পষ্ট অভিযোগ জানালে আমি ব্যবস্থা নিবো তবে সার্বেয়ার ও সহকারি কমিশনার কাগজপত্রগুলো যাচাই বাচাইয়ের কাজ করছেন।’