বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুন্দরবনে ডিম দিয়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২১ ১৭:৪৫

করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ২৩টি ডিম দিয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বিলুপ্ত প্রজাতির কচ্ছপ ‘বাটাগুর বাসকা’ ২৩টি ডিম দিয়েছে।

প্রজনন কেন্দ্রে পুকুরপাড়ে বালুর মধ্যে বুধবার রাত ১০টার দিকে বাটাগুর কচ্ছপ ডিম দিয়েছে।

ডিমগুলো প্রাকৃতিক উপায়ে বালুর মধ্যে রাখা হয়েছে। ৬৫ থেকে ৬৭ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে বাচ্চা ফুটবে বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।

করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ‘২০০০ সাল থেকে এ প্রজাতির কচ্ছপ বিলুপ্তপ্রায়। তবে ২০০৮ সালে আমাদের দেশের নোয়াখালী ও বরিশালের বিভিন্ন জলাশয়ে সন্ধান মেলে আটটি বাটাগুর কচ্ছপের।’

ওই আটটি কচ্ছপের মধ্যে চারটি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী। ওই বছরই প্রজননের জন্য কচ্ছপগুলোকে গাজীপুরে নিয়ে যায় বন বিভাগ। ছয় বছরে ৯৪টি বাচ্চা দিয়েছিল মা কচ্ছপগুলো।

তিনি আরও জানান, সেখানে ভালো সাড়া না পাওয়ায় ২০১৪ সালে ছানাসহ বাটাগুর বাসকাগুলোকে করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়।

এ কেন্দ্রে ২০১৭ সালে দুইটি বাটাগুরের ৬৩টি ডিম থেকে ৫৭টি বাচ্চা জন্ম নেয়।

এরপর ২০১৮ সালে দুইটি কচ্ছপের ৪৬টি ডিম থেকে ২১টি বাচ্চা এবং ২০১৯ সালে একটি কচ্ছপের ৩২টি ডিম থেকে ৩২টি বাচ্চা জন্ম নেয়। সর্বশেষ ২০২০ সালের ১০ মে একটি কচ্ছপের ৩৫টি ডিম থেকে ৩৪টি বাচ্চা জন্ম নেয়।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি বাটাগুর ২৭টি ডিম পাড়ে। এর মাত্র চার দিনের মধ্যে আরেকটি বাটাগুর বুধবার মধ্যরাতে ২৩টি ডিম পাড়ে।

করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র থেকে ২০১৭ সালে দুইটি, ২০১৮ তে পাঁচটি, ২০১৯ সালে পাঁচটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ সুন্দরবনের বিভিন্ন নদীতে অবমুক্ত হয়।

এ বিভাগের আরো খবর