ঠাকুরগাঁওয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে ডেলটা নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে। বুধবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই যুবকের স্বজনেরা।
নিহত মেহবাহুল হক লালনের বাড়ি সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
লালনের বড় ভাই বিপ্লব নিউজবাংলাকে বলেন, দেড় মাস আগে ফুটবল খেলার সময় ডান হাতের হাড় ভেঙে যায় লালনের। স্থানীয় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হলেও, মাঝে মাঝে হালকা ব্যথা অনুভব করতেন। গত বুধবার সকালে চিকিৎসক জিল্লুর রহমানকে দেখালে তিনি অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। সেদিন বিকেলেই ডেলটা নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় লালনকে।
লালনের দুলাভাই মজিবর রহমান বলেন, ‘বুধবার রাত ১০টার দিকে লালনকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার সময় ওর সঙ্গে কথা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোনো সমস্যা হয়েছি কি না। লালন বলেছিল, সে ঠিক আছে।
‘অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর কিছুক্ষণ পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, সামান্য জটিলতা হওয়ায় লালনকে দিনাজপুর নিতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনাজপুর নেয়ার পথে মৃত্যু হয় লালনের।’
লালনের বাবা জলই মণ্ডল বলেন, ‘সুস্থ ছেলেকে হাতের অপারেশন করাতে গিয়ে এভাবে চিরদিনের জন্য হারাব, তা কল্পনা করেনি। ইচ্ছা করছে, মামলা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে উচিত শিক্ষা দিই, যেন আমার মতো আর কোনো বাবার বুক খালি না হয়। কিন্তু মামলা করলে ছেলেকে কাটাছেঁড়া করবে। তাই মামলা করছি না।’
এ বিষয়ে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ও অস্ত্রোপচার করা চিকিৎসক জিল্লুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।