তাহজীবুল উম্মাহ ইসলামিক ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে আট বছর বয়সী ইয়াছিন আরাফাত। বাড়ি রায়পুরের পূর্বলাচ নতুন বাজার এলাকায়।
স্বজনদের অভিযোগ, আরাফাত মাদ্রাসায় নিয়মিত যায় না বলে শিক্ষক ওমর ফারুক তাকে নিতে আসেন। শিশুটি সঙ্গে যেতে না চাইলে তিনি হাতের কাছে থাকা ডিশ লাইনের তার দিয়ে আরাফাতকে পেটাতে শুরু করেন। পরে মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়েও তাকে পেটান।
এ ঘটনায় ফারুকের বিরুদ্ধে বুধবার রাতে রায়পুর থানায় মামলা করেন শিশুটির মা লাভলী বেগম।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল নিউজবাংলাকে জানান, অভিযোগ পেয়ে মাদ্রাসায় অভিযান চালানো হয়েছে৷ অভিযুক্ত ফারুক ও অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অভিযুক্ত শিক্ষককে থানায় হাজির হতে বলা হয়েছে।
তবে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে দুইটার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি থানায় উপস্থিত হননি বলে জানিয়েছেন ওসি।
শিশুটির মায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে আরাফাতকে নিতে আসেন শিক্ষক। সে যেতে না চাইলে মায়ের সামনেই তাকে ডিশ লাইনের তার দিয়ে পেটান শিক্ষক ফারুক। এরপর আরাফাতকে টেনেহিঁচড়ে মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে আবার পেটান।
লাভলী বেগম ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে শিশুটি তার বাড়িতে আছে।
ঘটনার পর থেকে ফারুক পলাতক। মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।