ভুয়া আগাম জামিননামা তৈরির ঘটনায় বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ আরও ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাদের গ্রেপ্তারে হাইকোর্টের নির্দেশের আট দিন পর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের আবেদন করেন এই ১৬ জন। আদালত তাদের আবেদন গ্রহণ না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেগম আসমা মাহমুদ এই আদেশ দেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার বিকেলে আদালতে উপস্থিত হয়ে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করেন ১৪ আসামি। একই আদালত তাদেরও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন বগুড়া পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মণ্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নূর আলম মণ্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক।
বগুড়ায় মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পালটাপালটি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের নামে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়।
ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।
সাত দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হয়। বিষয়টি তদন্ত করতে বগুড়ার মুখ্য বিচারিক হাকিমকে নির্দেশ দেয় আদালত।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চের উল্লেখ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার দাবি করেন বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামি। তবে ওই দিন এই আদালত থেকে এমন কোনো আদেশ হয়নি। এমনকি সেখানে যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তা-ও ভিত্তিহীন।