ঢাকার সাভারে ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতা ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মামলায় ইউপি সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির হোসেনকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার বিকেলে গ্রেপ্তার ইউপি সদস্যের ছেলে মনির ভূঁইয়াকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠায় আশুলিয়া থানা পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়া থানায় মামলাটি করেন থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকারের ম্যানেজার সেলিম হোসেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার ছেলে মনির ভূঁইয়া, আরেক ছেলে দেলোয়ার ভূঁইয়াসহ ৯ জন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ৭০-৮০ জনকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মনির ভূঁইয়াকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইলে ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভূঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচ জন আহত হয়।
এ সময় ইউপি সদস্য মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে ঘোষণা দিয়ে এলাকাবাসীকে জড়ো করার চেষ্টার অভিযোগও ওঠে।