বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাচ্চাডারে দত্তক দিয়া হাহাকারের মধ্যে ছিলাম’

  •    
  • ৩ মার্চ, ২০২১ ২১:১৬

এলাকাবাসী অভিযোগ করে, রেজাউল সুদের টাকা পরিশোধ করতে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উভয় পরিবারই অস্বীকার করে। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি তদন্ত করে। উভয় এলাকায় গিয়ে এবং পরিবার দুটির সঙ্গে কথা বলে শিশু বিক্রির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

দারিদ্র্যের কারণে ২১ দিনের শিশুকে দত্তক দেন। কিন্তু পরে মা টের পান চাঁদনী নামের ওই শিশুর জন্য কেমন হাহাকার বোধ করছেন। প্রশাসন দুই দিন পর শিশুটিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়।

চাঁদনির মা ফুলজান জানান, ‘বাচ্চাডারে দত্তক দিয়া হাহাকারের মইধ্যে ছিলাম। ডিসি স্যারের জন্যি ছাওয়াল ফিরে পাইছি। আমি খুবি খুশি।’

বুধবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেন।

তা ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাঁদনীর পরিবারকে ১০ হাজার টাকা, বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী উপহার দিয়েছেন। একই সঙ্গে চাঁদনীর পরিবারকে মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে জমিসহ ঘর, একটি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান, দুস্থ ভাতা কার্ড দেয়া হবে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, উপজেলার কয়েন গ্রামের ভ্যানচালক রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী ফুলজান বেগমের দুই ছেলের বয়স যথাক্রমে পাঁচ ও আট বছর। মেয়ে চাঁদনীর জন্ম ৮ ফেব্রুয়ারি।

তাকে গত সোমবার পাবনার এক নিঃসন্তান শিক্ষক দম্পতির কাছে দত্তক দেন।

দত্তক দেয়ার দুইদিন পর ইউএনও অফিসে শিশু চাঁদনীকে মায়ের কোলে তুলে দেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ

তিনি আরও জানান, এলাকাবাসী অভিযোগ করে, রেজাউল সুদের টাকা পরিশোধ করতে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে টাকা লেনদেনের বিষয়টি উভয় পরিবারই অস্বীকার করে। পুলিশ গুরুত্ব সহকারে ঘটনাটি তদন্ত করে। উভয় এলাকায় গিয়ে এবং পরিবার দুটির সঙ্গে কথা বলে শিশু বিক্রির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরে জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ নিজ উদ্যোগে শিশুটিকে দত্তক নেয়া বাবা-মার কাছ থেকে এনে রেজাউল- ফুলজান দম্পতির কাছে ফিরিয়ে দেন।

জেলা প্রশাসক শাহরিয়াজ বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে রেজাউল ও ফুলজান তাদের মেয়েকে দত্তক দিয়েছিলেন। স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় বাচ্চাটিকে এনে তার মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর