নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও মিছিল করেছেন বান্দরবানের সাংবাদিকরা। এ সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলেরও দাবি জানান তারা।
বুধবার সকাল ১০টায় বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হক বলেন, ‘সাংবাদিকরা সমাজের কারও শত্রু নয়, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক মংসানু মারমা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশি শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। মামলার ভয় তো রয়েছেই, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা হুমকিও পাচ্ছেন। হত্যা ও হামলার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন রাষ্ট্রে শুভকর নয়।’
মুজাক্কিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানান তিনি।
প্রথম আলোর সাংবাদিক বুদ্ধজ্যোতি চাকমা মানববন্ধনে বলেন, ‘সাংবাদিক মুজাক্কিরের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, সারা দেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হত্যার ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মংসানু মার্মা, প্রেস ইউনিটির সভাপতি আলাউদ্দিন শাহারিয়ারসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
১৯ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও বার্তা বাজার ডটকমের নোয়াখালী প্রতিনিধি মুজাক্কির।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে সেখানেই মারা যান মুজাক্কির।
এ ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন মুজাক্কিরের বাবা নোয়াব আলী। এতে অজ্ঞাতনামা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।