দেশেই অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বলেছেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করতে যা যা করার দরকার, তার সবই করা হচ্ছে।
বুধবার সাভার সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসেন সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
জেনারেল আজিজ বলেন, ‘আমরা নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য দেশের অভ্যন্তরে যাতে বিভিন্ন অস্ত্র, গোলাবারুদ তৈরি করতে পারি সে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের মূল শক্তি পদাতিক বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করে অগ্রসর হচ্ছি। অত্যাধুনিক ইনফ্যান্ট্রির জন্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ইনট্রোডিউস করছি।
‘ইতিমধ্যে আমরা ৫০০ অটো গ্রেনেড লঞ্চার আমদানি করেছি। সামগ্রিকভাবে আমাদের সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের জন্য সরকারের যে দিকনির্দেশনা ছিল এবং আমাদের চাহিদা ছিল সেই অনুযায়ী সেনাবাহিনী সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়নের পাশাপাশি প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দেন সেনাপ্রধান আজিজ। বলেন, ‘আধুনিক সরঞ্জামাদি যাতে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায় সেইভাবে আমাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে। তা না হলে যত আধুনিক সরঞ্জামই আসুক না কেন, যদি ভালো প্রশিক্ষণ না থাকে সেটা আমাদের কোনো ফল দেবে না। অর্থাৎ প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই।’
সম্ভাব্য প্রতিপক্ষরা অর্থনৈতিক ও জনবলের দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন সেনাপ্রধান।
এর আগে বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশনের অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের ফায়ারিং প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন সেনাপ্রধান। এরপর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি।
প্রতিযোগিতায় সপ্তম পদাতিক ডিভিশন দল চ্যাম্পিয়ন ও ২৪ পদাতিক ডিভিশন রানারআপ হয়।
নবম পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ডিভিশনের ১৫টি দল ফায়ারিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ১৩ জন নারী সেনাসদস্যসহ ২০০ জন অংশ নেন।