পঞ্চম ধাপে আরও ২ হাজার ২৫৭ রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে নৌবাহিনীর ৬টি জাহাজ।
এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসে করে এনে চট্টগ্রামে বিএএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয় রোহিঙ্গাদের। সেখানে রাত কাটিয়ে বুধবার ভাসানচরের দিকে রওনা হন তারা।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মোজাম্মেল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গা নুর আহম্মদ জানান, টেকনাফ-উখিয়ার ক্যাম্পগুলোতে বসবাসের তেমন সুব্যবস্থা না থাকায় স্বেচ্ছায় তারা ভাসানচরে যাচ্ছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে ৯ হাজার ৫৪০ রোহিঙ্গাকে।
এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যান। এরপর ২৯ ডিসেম্বর ১ হাজার ৮০৫ জন এবং ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ৩ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২ হাজার ১৪ জন ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ৮৭৯ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করে।