সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে কাজ দেয়ার কথা বলে এক কিশোরীকে বরিশালে ডেকে নেন আরিফুল ইসলাম সুমন নামের এক তরুণ।
ওই কিশোরী বরিশালে গেলে কাজ না দিয়ে সুমন ও তার স্ত্রী মিলে তাকে আটকে রাখেন। পরে আরেকজনকে দিয়ে কিশোরীকে যৌন হয়রানি করান। এভাবে ওই কিশোরীকে সুমন চার মাস ১৯ দিন আটকে রাখার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেলের উপপরিদর্শক তানজিল আহম্মেদ আসামিদের কারাগারে পাঠানোর কথা জানান।
কারাগারে পাঠানো তিন আসামি হলেন আরিফুল ইসলাম সুমন, তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার সাথী ও তাদের বন্ধু মো. আরিফ।
তানজিল আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। সে ঢাকায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত। প্রায় সাত-আট মাস আগে তার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় বরিশাল নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম সুমনের। পরে সুমনকে সে নিজের পারিবারিক অবস্থার কথা জানায়। সুমন তাকে কাজ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন।
তিনি জানান, ভালো কাজ আছে জানিয়ে সুমন ওই কিশোরীকে বরিশাল ডেকে আনেন। এমনকি সে চাইলে সুমনের পরিবারের সঙ্গে থেকেও কাজ করতে পারবে বলে আশ্বাস দেন। এমন আশ্বাসে কিশোরী বরিশাল গেলে তাকে কাজ না দিয়ে সুমন ও তার স্ত্রী আটকে রাখেন।
কিশোরী একটা ফাঁদে পড়েছে বুঝতে পারলে পালানোর চেষ্টা করে। তবে সুমন ও তার স্ত্রী কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে সেখানে আটকে রাখে।
তানজিল আহম্মেদ জানান, ২৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। সে রাতেই মামলা করে সোমবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যৌন হয়রানির শিকার ওই তরুণী টাঙ্গাইলের কালিহাতি এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা তিনজনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মানব পাচার ও প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা করেছেন। কিশোরীকে তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’