তিন বছর তিন মাসের আইনি প্রক্রিয়ার পর চুয়াডাঙ্গায় জতেনদর দাস নামের এক ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তের ৭৬ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেয়া হয়।
জতেনদর দাস ওরফে রাজেন্দ্র রাভিলার বাড়ি ভারতের ভাগলপুর জেলার লদীপুর থানার উস্ত গ্রামে। তিনি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। তিনি অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ও দর্শনা ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় জতেনদরকে আটক করে বিজিবি। পরে বাগাতিপাড়া থানায় মামলা করে বিজিবি। পরে নাটোরের জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ১ আগস্ট জতেনদরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-২-এর বিচারিক সুলতান মাহমুদ। কারাভোগ শেষে ২০২০ সালের ২৫ নভম্বের তাকে ভারতে ফেরত দেয়ার জন্য দর্শনায় নেয়া হয়। পরে কাগজপত্র জটিলতার কারণে চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাকে আবারও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। জটিলতা দূর হলে মঙ্গলবার তাকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে দেশে পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর নিস্তার আহমেদ নিউজবাংলাকে জানান, ভারতীয় পুলিশ জতেনদরকে তার মা মিয়াকা দেবীর কাছে হস্তান্তর করেছে।
পতাকা বৈঠকের নেতৃত্ব দেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মেজর নিস্তার আহমেদ ও ভারতের নদীয়া জেলার গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ কুমার।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক শেখ মো. ইমরান আলী, দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জহির উদ্দীন বাবর, পোস্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিলসহ অনেকে।
ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফের গেদে কোম্পানি কমান্ডার এসি সামন্ত পাল, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আশুতোষ ভাওয়াল, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই আমিরুল ইসলামসহ অনেকে।