বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপির সমাবেশ: এবার সড়কে বিচ্ছিন্ন রাজশাহী

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ১৪:৫১

রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো নিউজবাংলাকে জানান, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা। তাই শ্রমিকের জীবন ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য বাস বন্ধ করা হয়েছে।

বিএনপির পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ শুরুর আগের দিন সোমবার থেকে রাজশাহী ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। তবে কিছু কিছু বাস শহরে এসেছিল।

সমাবেশের দিন মঙ্গলবার শহরে বাস যাওয়া-আসা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার সকালে কোথাও কোথাও হাতে গোনা কয়েকটি অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।

রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশ মঙ্গলবার বেলা দুইটা থেকে। এ সমাবেশের স্থান নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। সোমবার রাতে দলটি মাদ্রাসা ময়দানসংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে।

গত শনিবার খুলনায় বিএনপির সমাবেশের সময়ও একই চিত্র দেখা গেছে। তখনও পরিবহন মালিকরা হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থীরা ধারাবাহিকভাবে মহানগরগুলোতে এই সমাবেশ করছেন। প্রথমে সমাবেশ হয় বরিশালে। পরে হয় খুলনায়।

রাজশাহীতে মাদ্রাসা ময়দানসংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা

বরিশালের সমাবেশে ঢাকা থেকে বিএনপির নেতারা বহর নিয়ে যোগ দিতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন মাওয়াতে। হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ফেরি চলাচল। পরে ছোট লঞ্চে করে নেতারা পাড়ি দেন পদ্মা। আর নদী পার হয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে গিয়েও হয়রানিতে পড়েন। সেখানে অনেক মাইক্রোবাস দাঁড়িয়ে থাকলেও বিএনপির নেতাদের বহন করতে রাজি হচ্ছিলেন না।

বিএনপির অভিযোগ, সরকারই নানা কায়দা-কৌশল করে তাদের কর্মসূচি পালন করতে বাধা দিচ্ছে। যদিও সরকার বা আওয়ামী লীগ এই অভিযোগ স্বীকার করছে না।

রাজশাহীর কী চিত্র

সকালে নগরের রেলগেট এলাকায় অটোরিকশার সঙ্গে দরদাম করছিলেন মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ব্যবসায়িক কাজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ যাওয়া দরকার। এ জন্য সিএনজিতে করে অনেক কষ্টে শহরে পৌঁছালাম। কিন্তু শহরে এসে আর যেতে পারছি না।

‘অন্য সময় অটোরিকশা চলে। আজকে তারাও যেতে চাচ্ছে না। একজন যেতে চাইল। কিন্তু ভাড়া চাচ্ছেন অন্য দিনের থেকে তিন গুণ।’

নাটোর থেকে পরিবার নিয়ে রাজশাহী এসেছিলেন জহিরুল ইসলাম। বাড়ি ফেরার গাড়ি পাচ্ছেন না। অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ থাকায় ভোগান্তির সঙ্গে বেড়েছে বিরক্তিও।

নগরের শিরোইল বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, হাতে গোনা কয়েকটি হিউম্যান হলার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। কিন্তু এ জন্য বাড়তি ভাড়া যেমন গুনতে হচ্ছে, তেমনি অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।

নওদাপাড়ায় নগরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দেখা যায়, দ্বিতীয় দিনের মতো সেখান থেকে ঢাকার পথে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। ছাড়েনি আন্তজেলাসহ কোনো রুটের বাস। তবে খোলা রয়েছে বাস কাউন্টার।

রাজশাহীতে মাদ্রাসা ময়দানসংলগ্ন নাইস কনভেনশন সেন্টারে বিএনপির সমাবেশের প্রস্তুতি। ছবি: নিউজবাংলা

রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের দাবি, তাদের বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে, যাতে মানুষ না আসতে পারে।

এ বিষয়ে রাজশাহী সড়ক পরিবহন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মতিউল হক টিটো নিউজবাংলাকে জানান, বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা সড়কে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা। তাই শ্রমিকের জীবন ও যানবাহনের নিরাপত্তার জন্য বাস বন্ধ করা হয়েছে।

সন্ধ্যার পর থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানান টিটো।

এ বিভাগের আরো খবর