প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অপহরণ করে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দিয়ে এক কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত রুবাইয়া ইয়াসমিন রিমু কারমাইকেল কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
স্বজনরা বলছেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী বাজার থেকে তাকে অপহরণ করে রিজভী ও ফয়সাল। পথে তাকে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে গুরুতর আহত করেন। পরে মরদেহ রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তারা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত কর্মচারী সাইফুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই যুবক একটি অ্যাম্বুলেন্সে একটি মেয়েকে নিয়ে আসে। মেয়েটির মাথায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
‘আমরা তাকে ভর্তি করে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে রেফার্ড করি। হাসপাতালের এক ট্রলি কর্মচারী মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। লিফটে ওঠার সময় মেয়েটি মারা যান। এ সময় ছেলে দুটি সেখান থেকে পালিয়ে যান।’
তিনি বলেন, ‘এ খবর আমাদের দিলে আমরা ছেলে দুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। না পেয়ে সর্দার অফিসে জানাই। সর্দার অফিস লাশ মর্গে রেখে দেয়।’
হাসপাতালে উপস্থিত রিমুর নানা তালেব আলী নিউজবাংলাকে জানান, কলেজ বন্ধ থাকায় জলঢাকায় থেকে প্রাইভেট পড়ছিল রিমু। বাড়ি থাকি ঠেংগন মারিতে প্রাইভেট পড়তে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী খোকন মিয়ার বরাত দিয়ে রিমুর নানা জানান, রিমু প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় রিজভী ও ফয়সাল তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তোলেন। রিজভী মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। ফয়সাল মোটরসাইকেলের পেছনে এবং তার পেছনে ছিলেন রিমু। কিছু দূর যাওয়ার পর রিমুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তারা। এ সময় গ্রামের মানুষ তাদের ঘিরে ধরে। পরে তারা রিমুকে জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান থেকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
তালেব আলী বলেন, ‘অনেক দিন থেকে ফয়সাল হামার নাতনি খোনাক ডিস্টাব করে। পেমের পোস্তাব দেয়, রাস্তাত খারাপ কতা কয়। এই কতা হামার বড় নাতি ইমন শুনিয়া ফয়সালোক ভয় দেকায়। আজ ওমরা মোর নাতকির মাই ফেলাইল। মুই এর বিচার চাং।’
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।