সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে সম্পা খাতুনকে বিয়ে করেন নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের আবুল বাশার। বিয়ের চার মাস পর প্রবাসী হন বাশার। একবছর পর সম্পার কোলজুড়ে আসে এক শিশু সন্তান।
সেই শিশু বাঁধন পারভেজের বয়স এখন সাত বছর। দীর্ঘদিন পর চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি থেকে দেশে ফেরেন আবুল বাশার। আসার পরই তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান বাশার। সেখানেই ছিলেন কয়েকদিন ধরে।
কিন্তু হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন বাশারের স্ত্রী-সন্তান। ২৫ ফেব্রুয়ারি নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রাম থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও সাত বছরের ছেলে বাঁধনসহ নিখোঁজ হন সম্পা খাতুন।
নিখোঁজের ঘটনায় রোববার রাতে গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন সম্পার স্বামী আবুল বাশার।
পাশাপাশি তার স্ত্রী-সন্তানের খোঁজ দিলে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন বাশার।
থানায় লিখিত অভিযোগে আবুল বাশার জানান, ২০১৩ সালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে সম্পা খাতুনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের চার মাস পরে স্ত্রীকে রেখে সৌদি আরবে যান বাশার। এর এক বছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। তার বয়স এখন সাত বছর। চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বাশার দেশে ফেরেন। বাড়ি ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই আবুল বাশারের মা অসুস্থ হয়ে পড়লে মাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করান।
বাশার হাসপাতালে থাকাকালে তার স্ত্রী ছেলে ও ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫ লাখ টাকাসহ নিখোঁজ হন বলে জানান বাশার।
নিখোঁজের কোনো কারণ জানাতে পারেননি বাশার।
সম্পার নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে জানান বাশার।
এর পরেই নিখোঁজ স্ত্রী ও সন্তানকে খুঁজে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বাশার।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটা পারিবারিক ঝামেলা। নিখোঁজ সম্পার বাবা নিজাম উদ্দিনকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনিও নাতিসহ মেয়ে নিখোঁজের বিষয়টি তাকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।’
খুব দ্রুত নিখোঁজের কারণ উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।