বরগুনার বামনায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও মেয়েকে প্রকাশ্যে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে রামনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জমাদ্দার এবং তার সহযোগীর বিরুদ্ধে।
আহত ওই নারী ও তার মেয়েকে চিকিৎসা নিতেও বাধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পরে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করলে আটকে রাখার ছয় ঘণ্টা পর বামনা থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
মারধরের শিকার ওই নারীরা হলেন-রামনা ইউনিয়নের উত্তর রামনা গ্রামের মনোয়ারা বেগম ও তার মেয়ে পারুল বেগম।রোববার দুপুর দেড়টার দিকে একটি গোয়ালঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই নেতা ও তার গাড়িচালক তাদের নির্যাতন করে। তবে এ ঘটনা জানাজানি হয় সোমবার দুপুরে।
আহতরা বর্তমানে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বামনা থানায় কোনো মামলা হয়নি।গুরুতর আহত পারুল বেগম বলেন, ‘আমাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে একটি গোয়ালঘর নির্মাণের সময় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ও তার সহযোগী রাজু এসে বাধা দেন। তাদের দাবি ওই সম্পত্তি তাদের। অথচ আমরা ৫০ বছর ধরে ওই সম্পত্তি ভোগদখল করছি।
‘সাবেক চেয়ারম্যান ও তার গাড়িচালক আমাদের এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। তাদের হামলায় আমরা মুখমণ্ডল ও বুকে প্রচণ্ড আঘাত পাই। আমরা হাসপাতালে আসতে চাইলেও দুইবার তারা আমাদের গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে দেয়। পরে ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহায়তা চাই। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ সময় হাসপাতালে এসেও সাবেক ওই চেয়ারম্যান আমাদের হুমকি দেন।’এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম জমাদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার সম্পত্তি দখল করে ওই নারীরা গোয়ালঘর তুলছেন। আমি অনেকবার নিষেধ করলেও তারা ভ্রুক্ষেপ করেননি। তবে আমি তাদের ওপর কোনো ধরনের হামলা করিনি। হয়তো দু-একবার ধাক্কা দিয়েছি।’বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘৯৯৯-এ কল পাওয়ার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই মা ও মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তারা বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত আহতদের পক্ষে কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’