রাজধানী ঢাকা ও উপকণ্ঠ সাভার থেকে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী পুস্তিকা ও প্রচারপত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকার ভাষানটেক, তেজগাঁও, যাত্রাবাড়ী ও সাভারে রোববার দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৪ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটক চারজন হলেন চট্টগ্রামের কলিম উল্ল্যাহ ও আলী রাসেল এবং শেরপুরের তাসকিন হাসান আকন্দ আনন্দ ও নরসিংদীর জহিরুল ইসলাম মাসুদ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনসার আল ইসলামের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদী বই, চারটি ট্রাভেল ব্যাগ, জঙ্গি কার্যক্রমে ব্যবহৃত পাঁচটি মোবাইল ও ১২৬টি জঙ্গিবাদী কথোকথনের প্রমাণাদি জব্দ করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই চারজন নিজেদের আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।
আটক কলিম উল্ল্যাহ একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন এবং বর্তমানে অনলাইনে ও অফলাইনে কাপড় ব্যবসা করেন। তিনি মূলত সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কাজটি করতেন। পাশাপাশি অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও, প্রচারপত্র প্রচার ও নিয়মিত চাঁদা সংগ্রহ করতেন।
তাসকিন হাসান আকন্দ একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা কোর্সে পড়ার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি প্রচার করতেন।
জাহাঙ্গীর মিয়া ওরফে জহিরুল ইসলাম রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অনলাইনে উগ্রবাদী জিহাদের ভিডিও আপলোড করছেন।
আরেক আটক ব্যক্তি আলী রাসেল কারওয়ান বাজারে একটি মাছের আড়তে কাজ করতেন। তিনি সংগঠনটির জন্য নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
র্যাব-৪-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাজেদুল ইসলাম সজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আটক জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’