ইন্টার্নশিপ ও মাইগ্রেশনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন রংপুরের নর্দান মেডিক্যাল কলেজে এমবিবিএসের শিক্ষার্থীরা।
রংপুর-লালমনিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের মেডিক্যাল পাকার মাথা এলাকায় সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ওই মেডিক্যাল কলেজের ভারত ও নেপালের ৫৫ শিক্ষার্থী।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সোহাইব মোহাম্মদ সোয়েব নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কলেজটির সরকারি অনুমোদন নেই। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমরা মাইগ্রেশন করে অন্য মেডিক্যাল কলেজে যেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের এমবিবিএস শেষ হয়েছে এক বছর হলো কিন্তু ইন্টার্ন করতে পারছেন না। ইন্টার্ন ছাড়া মেডিক্যালের পড়ালেখা শেষ হবে না।’
২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, ‘আমরা ২৩ দিন ধরে আন্দোলন করছি। আমরা শিক্ষা ও উন্নয়ন সচিবের কাছেও আমাদের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু আমাদের কোনো দাবি মানা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করেছি।’
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এইচ এম এনায়েত হোসেনের সামনে বিক্ষোভ করেন।
তাদের অভিযোগ ছিল, বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে নেপালের ৩২ শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে ভর্তি করে নর্দান কর্তৃপক্ষ। অথচ তাদের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই।
নেপালি শিক্ষার্থী ছাড়াও তিন শতাধিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ওই কলেজে লেখাপড়া করছেন। কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দেয়ার পরও কোর্স পরিচালনায় কোনো অনুমোদন আনতে পারেনি। এমনকি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে যারা ভর্তি হয়েছেন, এমবিবিএস পাস করলেও তাদের ইন্টার্নশিপের কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এমবিবিএস শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আকলিমা আখতার বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে এখানে ভর্তি করিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ যে প্রতারক, তা আমরা জানতাম না। বিএমডিসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই সেটাও আমাদের বলা হয়নি। এমন অবস্থায় আমাদের শিক্ষাজীবন রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি তারা দ্রুত সড়ক ছেড়ে উঠে যাবে।’