রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে প্রাচীরঘেরা একটি জমিতে গাঁজা চাষের অভিযোগে উদ্ধার হওয়া গাছগুলোর স্যাম্পল ল্যাবে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার সিআইডি ল্যাবে রোববার সকালে ওই গাছের স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার খেজুরবাগান মোল্লা বাড়ি গলি এলাকায় সোহেল হোসেন নামে একজনের জমিতে গাঁজা চাষের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।
অভিযানের পর সোহেল আহমেদ ও তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আশুলিয়া থানায় নেয়া হয়।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বলেন, ‘এটা একচ্যুয়ালি (আসলে) গাঁজাগাছ কি না, তা আমরা পরীক্ষা করে দেখতেছি। স্যাম্পল নিয়ে আসছি।
‘ওরা (মালিকপক্ষ) বলতেছে, এই গাছটি দিয়ে ওজিটি ওয়েল তৈরি করে। তবে গাছটি গাঁজা গোত্রেরই। এরা নাকি বাইরে এক্সপোর্ট করার জন্য করছে এটা। তবে কনফার্ম না। যাচাইবাছাই চলছে।’
নেশার উপাদান আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কৃষি অফিসার ও বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন করে যেটুকু জানলাম, এটাতে নেশার উপাদান আছে।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি বলেন, ‘আমাদের ধারণা গাঁজাই। তারপরও আমরা কনফিউশন (সন্দেহ) রাখতে চাই না। দ্রুত সময়ে আমরা পরীক্ষা করাব। যদি এটা গাঁজা হয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাতে ওই জমিতে গিয়ে দেখা যায়, সুউচ্চ প্রাচীরের ভেতর সারিবদ্ধভাবে লাগানো বিপুলসংখ্যক গাঁজাসদৃশ গাছ।
জমির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান জানান, তিন মাস আগে তিনি এখানে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেন। এর আগেই গাছের চারাগুলো রোপণ করা হয়। মালিক সোহেল তাকে বলেছিলেন, এগুলো বিদেশি ফুলগাছ। গাঁজাগাছ কি না, তিনি জানেন না।
তিনি আরও জানান, সোহেল জমি কিনে বিক্রি করেন। বাড়ি তৈরি ও কেনাবেচার কাজও করেন। পাশেই তার আরও বাড়ি রয়েছে।
ঘটনাস্থলের পাশের একটি বাড়ির বাসিন্দা ফজলুল হক জানান, আগে যে ওই জায়গা দেখাশোনা করতেন তিনি সবজি চাষ করতেন। নতুন করে আরেকজন ভেতরে নিরাপত্তার কাজ নিয়েছেন। তবে ভেতরে গাঁজার গাছ আছে কি না, তিনি জানেন না।