মাগুরা সদর উপজেলার শ্বশুরবাড়ি থেকে সালমা খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার জগদাল ইউনিয়নের রুপাটী গ্রাম থেকে শনিবার বিকেলে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আত্মগোপন করেছেন। সালমার পরিবারের সদস্যদের দাবি, সালমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
তারা জানান, পাঁচ মাস আগে রূপাটি গ্রামের রাজু মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সালমার। বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতে আসা-যাওয়া নিয়ে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্য শুরু হয়।
সালমার দাদা পিকুল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৮টার দিকে ফোন করে তাদেরকে জানানো হয়, সালমা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে সালমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান তারা।
তিনি আরও জানান, তারা গিয়ে ওই বাড়িতে সালমার স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাননি।
সালমাকে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে সালমার স্বামী রাজুকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন জানান, মরদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা জানা যাবে।