বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ কোনোদিন ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারেনি: খুলনায় শাহজাহান ওমর

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:৫৫

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খুলনার মহাসমাবেশে কর্মীদের আসতে পথে পথে বাধা দিয়েছে। তারপরও হাজার হাজার জনতা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরই সরকারের শেষ সময়।

আওয়ামী লীগ কোনোদিন জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর।

শনিবার বিকেলে নগরীর কে ডি ঘোষ রোড বিএনপি কার্যালয়ের সামনে বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের বীরউত্তম খেতাব বাতিলের ‘ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদ ও দলীয়ে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের ছয় সিটিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে এ মহাসমাবেশ হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নিতাই রায় চোধুরী ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

প্রধান বক্তা ছিলেন বরিশাল সিটির মেয়র প্রার্থী মো. মজিবর রহমান সরোয়ার, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, চট্টগ্রামের ডা. শাহাদাত হোসেন, ঢাকা উত্তরের তাবিথ আওয়াল ও ঢাকা দক্ষিণের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, খুলনার মহাসমাবেশে কর্মীদের আসতে পথে পথে বাধা দিয়েছে। তারপরও হাজার হাজার জনতা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরই সরকারের শেষ সময়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। ১৬ কোটি মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ছিনিয়ে নিয়ে দলের এমপি বানিয়েছেন। তারাই ব্যাংক লুট করছেন। শেয়ারের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ প্রশাসন দেশকে সর্বনাশের দিকে নিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, সমাবেশ পণ্ড করার জন্য পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়-ভীতি এবং দুদিনে ৩১ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের খাবার হোটেলে পুলিশ তালা দিয়েছে। খেয়াঘাট-বাস বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও মহাসমাবেশ সফল করেছে।

তিনি আগামীতে নির্বাচনকে অর্থবহ করতে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনের দাবি জানান।

মহাসমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক হুইপ মশিউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুজ্জামান খান শিমুল, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দীন, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবৃদ শামীমুর রহমান শামীমসহ অনেকে।

সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান, নগর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জেলা শাখার শেখ আবু হোসেন বাবু ও নগরের আসাদুজ্জামান মুরাদ।

এর আগে, সকাল থেকে খুলনায় ছিল পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায় বাস চলাচল। সকাল থেকে বন্ধ হয় লঞ্চ ও ট্রলার চলাচল। সব মিলে আটকা পড়ে বিভিন্ন কাজে খুলনায় আসা সাধারণ মানুষ। সেই সঙ্গে খুলনার বাইরে যারা নিয়মিত অফিস করেন, তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগও ছিল চরমে। তবে, সমাবেশ শেষে সন্ধ্যার পর থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

এ বিভাগের আরো খবর