বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকিৎসক লাঞ্ছিতের অভিযোগ, বহির্বিভাগ বন্ধ ৫ ঘণ্টা

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:৪৬

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া জানান, আহত দুই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না করিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে চিকিৎসকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিত করা হয়। চেয়ার–টেবিলও ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে শনিবার সকাল থেকে ৫ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়েন রোগীরা। চিকিৎসা না নিয়েই ফিরতে হয় অনেককে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়ার দাবি, ওই ঘটনায় চিকিৎসক অধিতি রানী সাহা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় সকালে হাসপাতালের বহির্বিভাগ বন্ধ ছিল। দুপুর ১টা থেকে চিকিৎসা দেয়া শুরু হয়।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিষের আঘাতে আহত উপজেলার তেরকান্দা গ্রামের মধ্যপাড়ার দুই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অধিতি রানী।

অভিযোগ, এ সময় শিশুদের স্বজন বাবুল মিয়া ও মোস্তাকিম হোসেনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন ওই চিকিৎসকসহ নার্স রাজীব হোসেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করেন।

তবে এক শিশুর চাচা রতন মিয়ার অভিযোগ, দুই শিশুকে হাসপাতালে নেয়ার পর কোনো চিকিৎসক বা নার্স আসেননি। অনেকক্ষণ পর একজন চিকিৎসক এসে ভালো করে না দেখেই তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।

রতনের দাবি, ওই সময় তিনি রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে চিকিৎসককে ব্যান্ডেজ করে দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি তা না করলে তার সঙ্গে থাকা অন্যরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তবে কাউকে লাঞ্ছিত করা হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া জানান, দুই শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যেতে বললে চিকিৎসকসহ তিনজনকে লাঞ্ছিত করা হয়। চেয়ার–টেবিলও ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। এ নিয়ে সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগ সকাল থেকে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন অনেকে। উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের জোনিয়া বেগম জানান, ঠান্ডা জ্বর নিয়ে সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে যান। তবে চিকিৎসক না পেয়ে বাসায় ফিরতে হয় তাকে।

ইদ্রিস মিয়া নামে একজন জানান, বেলা ১১টার দিকে বহির্বিভাগের টিকিট কাটার সময় তাদের বলা হয় চিকিৎসক নেই।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিউজবাংলাকে জানান, লাঞ্ছিতের ঘটনায় জিডি হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর