গাইবান্ধার সাঘাটায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রী ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মেয়েটির বাবা।
সাঘাটা থানায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হত্যা মামলা করেন নিহত আতিকা সুলতানার বাবা ফুলছড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার প্রভাষক আমিনুল ইসলাম।
আসামিরা হলেন আতিকার মা হামিদা বেগম ও ভাই মো. তানজিল।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল হোসেন বলেন, ‘আতিকার সঙ্গে প্রতিবেশী এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে আতিকার গলা কেটে ফেলেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন কুমার নিউজবাংলাকে জানান, ঘটনার পরই হামিদা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে তানজিল পলাতক।
বাবা আমিনুল জানান, তার আট বছরের আরেকটি মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে নামাজে যান। তারপরই এ ঘটনা ঘটে।
তার দাবি, তানজিলই বোনকে হত্যা করেছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমার ছেলেরই কারবার ভাই। এই পাগল। মা হয়ে তো সন্তানকে খুন করতে পারে না।
‘আমি নামাজে গেছিলাম। মসজিদ থেকে বের হয়েই শুনতেছি মেয়ে আর নাই।’
ওসি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও জব্দ করা হয়েছে।