বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাহাড়ে উপাসনালয় ভাঙার অভিযোগ, বন বিভাগের দাবি উচ্ছেদ

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১৯

বান্দরবানের আলীকদমে স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অভিযোগ, বিদ্যামনি ত্রিপুরা পাড়া ও সাথীরাম পাড়ার লোকজন প্রার্থনা করতেন সাথীরাম পাড়ার একটি গির্জায়। সেটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ১৫ বছর ধরে টাকা জমিয়ে আগেরটি থেকে দশ হাত দূরে নতুন করে গির্জা নির্মাণ শুরু করা হয়।

বান্দরবানের আলীকদমে স্থানীয় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের অর্থায়নে নির্মাণাধীন একটি গির্জা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে লামা বন বিভাগের বিরুদ্ধে। বন বিভাগ বলছে, সেখানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

আলীকদমের ৪ নম্বর কুরুকপাতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাথীরাম ত্রিপুরা গ্রামের প্রধান (কারবারি) সাথীরাম ত্রিপুরা নির্মাণাধীন গির্জা ভেঙে ফেলার অভিযোগ করেন।

তিনি জানান, গেল বৃহস্পতিবার সকালে লামা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন ও লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) অফিসার আতিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তাদের না জানিয়েই উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

সাথীরাম ও গ্রামের অন্য বাসিন্দারা নিউজবাংলাকে জানান, বিদ্যামনি ত্রিপুরা পাড়া ও এই পাড়ার লোকজন প্রার্থনা করতেন পাড়ার একটি গির্জায়। সেটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ১৫ বছর ধরে টাকা জমিয়ে আগেরটি থেকে দশ হাত দূরে নতুন করে গির্জা নির্মাণ শুরু করা হয়।

এটি ভেঙে দেয়ায় আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সায়েদ ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মংব্রাচিং মার্মা ও জেলা পরিষদের সদস্য ধুংড়ি মং মার্মার কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান সাথীরাম।

অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার ঘটনাস্থলে যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মংব্রাচিং মার্মা ও বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ধুংড়ি মং মার্মা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তারা। ধুংড়ি মং মার্মা বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। পাড়াটি অনেক পুরাতন। তারা নির্মাণাধীন গির্জা ভেঙে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।’

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মিনার চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

তবে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কায়চার বলেন, ‘আমরা কোনো গির্জা ভাঙিনি। আমরা সংরক্ষিত বনে অবৈধ স্থাপনা ভেঙেছি মাত্র।

‘মাতামুহুরী রিজার্ভে কোনো স্থাপনা তৈরি করতে বন বিভাগের অনুমতি লাগে। তারা আমার কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।’

তিন-চারটি ত্রিপুরা ঘর নিয়ে গির্জা তৈরি করার কোনো প্রয়োজন নেই দাবি করে কায়চার বলেন, ‘ওখানে কোনো গির্জা নেই, আছে শুধু সন্ত্রাসী।’

এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরও ইউএনও কোনো খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ গ্রামপ্রধানের। তবে ইউএনও সায়েদ বলেন, ‘আমার কাছে এখন পর্যন্ত সে রকম কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর